• Breaking News

    ইস্ট-মোহনের সামনে সুযোগ এনে দিল কাশ্মীর!

     আবেদনেগো কোফি তেত্তেহ-র পেনাল্টি গোলে
    জিতল কাশ্মীর। ছবি - এআইএফএফ

    অপরাজিত ছিল চেন্নাই সিটি এফসি। কোয়েম্বাটোরের জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে এবারের আই লিগে প্রথম খেলতে আসা রিয়েল কাশ্মীরের বিরুদ্ধে খেলার আগে। শনিবার প্রথম হার নবম ম্যাচে। কাশ্মীর জিতল বিতর্কিত পেনাল্টিতে, আবেদনেগো কোফি তেত্তেহর গোলে। ৯ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে উঠে এল দ্বিতীয় স্থানে। ৯ ম্যাচেই ১৮ পয়েন্ট নিয়ে এখনও শীর্ষেই চেন্নাই। কিন্তু, লিগ তালিকায় এখন ইস্টবেঙ্গলের সামনেও সুযোগ পরের ম্যাচ জিতে ১৮ পয়েন্টে পৌঁছে চেন্নাইকে ধরে ফেলার!
    স্পেনীয় ফুটবলারদের নিয়ে পজেশনভিত্তিক ফুটবল খেলে মন জয় করছিল চেন্নাই। শনিবারও বলের দখল ছিল তাদের পায়েই। কিন্তু কোনও কোনও সময় পজেশন যেমন নিষ্ফল হয়ে যায় ভেদশক্তির অভাবে, চেন্নাইয়ের হল ঠিক তেমন। বিপক্ষ রক্ষণ খুলতে ব্যর্থ, বিপক্ষের গোলরক্ষককে পরীক্ষায় ফেলতেও ব্যর্থ।
    পেনাল্টি মানে বিতর্ক। এমনিতেই এবারের আই লিগে রেফারিদের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক চলছেই। ৭৬ মিনিটে যখন গৌরব বোরা পেনাল্টি বক্সে ফেলে দেন কাশ্মীরের ক্রিজোকে, রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত জানাতে দ্বিধা করেননি। চেন্নাইয়ের ফুটবলাররা প্রতিবাদে মুখর হয়েছিলেন যথারীতি। কিন্তু, সিদ্ধান্ত তাতে বদলায় না। কোফি তেত্তেহ নিয়েছিলেন পেনাল্টি, দুবার। প্রথমবারও গোল করেছিলেন, কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তে আবার নিতে হয়েছিল। দ্বিতীয়বারও সফল এবং কাশ্মীর এগিয়ে যায়, বলের দখল নিজেদের পায়ে রাখার হিসাবে অনেক পিছিয়ে থাকা সত্ত্বেও।
    শেষের দিকে বারবার আক্রমণে এসেছিল চেন্নাই, কিন্তু কাশ্মীরের রক্ষণ এবং চেন্নাইয়ের স্পেনীয় ফরোয়ার্ডদের সুযোগ নষ্ট সমতা ফেরাতে দেয়নি। খেলার শুরু থেকেই রিয়েল কাশ্মীর চেষ্টা করেছিল মাঝমাঠে শরীর-নির্ভর ফুটবল খেলে পেশাদার ফাউল করে চেন্নাইয়ের খেলার ছন্দ নষ্ট করে দিতে। সেই চেষ্টায় পুরোপুরি সফল আই লিগে প্রথমবার খেলতে-আসা ক্লাব। শেষে সেই কৌশলেরই জয়।
    আই লিগের খেতাবি দৌড় খুলে গেল চেন্নাইয়ের এই হারে। রবিবার মোহনবাগান তাদের নবম ম্যাচে যুবভারতীতে শিলং লাজংয়ের বিরুদ্ধে জিতলে পৌঁছে যাবে ১৫ পয়েন্টে। ইস্টবেঙ্গলের পরের ম্যাচ ২৮ ডিসেম্বর এই রিয়েল কাশ্মীরের বিরুদ্ধেই, যুবভারতীতে। সেই দিন দুপুরে দশম ম্যাচ খেলবে মোহনবাগান, অ্যাওয়ে ম্যাচ নেরোকার বিরুদ্ধে। অর্থাৎ, ইস্টবেঙ্গলের নবম ম্যাচের আগে দশম ম্যাচ খেলে ফেলবে মোহনবাগান এবং পরপর দুটি ম্যাচ যদি জিতে যায়, চেন্নাইকে ধরে ফেলার সুযোগ মোহনবাগানের সামনেও, যেহেতু চেন্নাইয়ের পরের ম্যাচ ২৯ ডিসেম্বর, লাজংয়ের বিরুদ্ধে।
    লিগ ফুটবলের চরিত্র আসলে এমনই। দু-ম্যাচ আগে যে চেন্নাইকে মনে হচ্ছিল ধরাছোঁয়ার বাইরে, এখন তা সম্পূর্ণ উল্টো। রিয়েল কাশ্মীর তো বটেই, ইস্ট-মোহন, নেরোকা, চার্চিল – উপেক্ষা অসম্ভব!

    No comments