• Breaking News

    পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত গোয়া পেল এক পয়েন্ট । কাশীনাথ ভট্টাচার্য

    ম্যাচের উত্তেজক মুহূর্ত। ছবি - আইএসএল
    এটিকে - ০         এফসি গোয়া – ০

    বাইরের মাঠে এখনও অপরাজিত স্টিভ কোপেলের দল। একটি জয় দিল্লি ডায়নামোসের বিরুদ্ধে, বাকি দুটিতে জামশেদপুর এবং মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ড্র। ঘরের মাঠে ছবিটা ঠিক উল্টো। দুই-তৃতীয়াংশ ম্যাচ খেলা হয়ে গেল। পাঁচ ম্যাচে দুটি জয়, তিনটি হার ছিল সঙ্গী। এবার এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ড্র, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। এবারের মরসুমে প্রথম গোলশূন্য ম্যাচ দেখল ২১ হাজার ৮৫০ জনের যুবভারতী গ্যালারি।
    ৬৫ মিনিটে গোয়াকে বঞ্চিত করা হল নিশ্চিত পেনাল্টি থেকে। জ্যাকিচাঁদ সিংয়ের পরিবর্ত মনবীর সিং বক্সের মধ্যে থেকে শট নিয়েছিলেন এটিকে গোল লক্ষ্য করে। বক্সের মধ্যে, রেফারির চোখের সামনেই ডান হাত ছড়িয়ে আটকে দেন স্পেনীয় ডিফেন্ডার আন্দ্রে বিকে। পেনাল্টি বক্সের মধ্যে হাতে-বল না বলে-হাত, সামান্য বিতর্ক থাকেই। বহু রেফারি তাই বিতর্কে না যেতে চেয়ে বক্সে হাতে বল লাগলেই পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নেন। এখানে বিকে পরিষ্কার বলে হাত লাগালেন, থামিয়ে দিলেন বল। তারপরও পেনাল্টি দিলেন না রেফারি রাহুল কুমার গুপ্তা। তারপর বুকে হাত দিয়ে বিকে কী যে বোঝাতে চাইলেন! গোটা ম্যাচে বারবারই গণ্ডগোলে জড়ালেন যা একেবারেই অপ্রত্যাশিত, বিশেষত বিদেশি ডিফেন্ডারের কাছে। ম্যাচে ছড়াল অহেতুক উত্তেজনা।
    ৮ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে কলকাতায় খেলতে এসে গোয়া কিন্তু তুলনায় কম উজ্জ্বলই ছিল কলকাতার চেয়ে, প্রথমার্ধে। বল নিজেদের পায়ে রাখার দিকে বেশি নজর দিয়েছিলেন সের্খিও লোবেরার দলের ফুটবলাররা। এটিকে মাথা ঘামায়নি অযথা বল ধরে রাখতে চেয়ে। নিজেদের রক্ষণে বাড়তি নজর দিয়ে যখনই সুযোগ পাচ্ছিল, এগোচ্ছিল প্রতি আক্রমণে। আর গোয়ার রক্ষণের দুর্বলতা বারবারই প্রকট হচ্ছিল। ব্রাজিলীয় এবেরতোন সানতোস অন্তত দুবার গোলের কাছাকাছি গিয়ে সামনে গোলরক্ষককে পেয়েও গোলে বল পাঠাতে পারেননি।
    কেন এটিকে আগের আট ম্যাচে মাত্র সাত গোল করেছে, বোঝা সহজ তাদের স্ট্রাইকারদের পারফরম্যান্সেই। অস্ট্রেলিয়া থেকে সদ্য এসেছেন এলি বাবালি। ব্রাজিলীয়কে তুলে তাঁকে নামাতে বাধ্য হয়েছিলেন কোপেল ৬৮ মিনিটে। কোচ কোপেলই বা কী করতে পারেন! কালু উচেকে নিয়েছিলেন, চোটের কারণে উচে বিশেষ খেলতেই পারলেন না। তাঁর জায়গায় এমিলিয়ানো আলফারো। উরুগুয়ের ফুটবলার আবার এসেই তিন দিনের মধ্যে চোট পেয়ে বাইরে চলে গেলেন অন্তত মাস দুয়েকের জন্য। উচে চিকিৎসার জন্য বার্সেলোনা গিয়েছেন, আলফারো ফিরেছেন দেশে। কোচ স্বীকার করলেন, ‘খুব কঠিন হয়ে যায় কাজটা। একজন নয়, দুজন সেন্টার ফরোয়ার্ডকে যদি না পাওয়া যায়। কিন্তু কিছু করার নেই। চোট পাবে কেউ, বাকিদের দিয়ে সেই কাজটা করিয়ে নিতে হবে। ফুটবল এমনই।’
    কলকাতা থেকে এক পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় স্থানে  উঠে এল গোয়া। ৯ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানেই থাকল এটিকে, ১৮-ম্যাচের লিগে অর্ধেক ম্যাচ খেলা হয়ে যাওয়ার পর। পরের অর্ধে কিন্তু ছয় ম্যাচ বাইরে, মাত্র তিনটি ঘরের মাঠে। তার মধ্যে আবার পরের তিনটি ম্যাচই বাইরে। প্রথমে চেন্নাইয়িন। গতবারের চ্যাম্পিয়নরা এবার একেবারেই ছন্দে নেই। খোলস ছেড়ে বেরিয়ে বাইরের ম্যাচে বেশি পয়েন্ট তুলে কোপেল কি পারবেন লিগ শেষে প্রথম চারে থাকতে? তালিকায় ১৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে বেঙ্গালুরু, যারা খেলেছে মাত্র সাতটি ম্যাচ, যেখানে পাঁচটি দল খেলে ফেলেছে ৯ ম্যাচ করে। কোপেল কিন্তু প্রতিযোগিতা শুরুর আগেই বলেছিলেন, সূচিটা একটু অন্যরকম হলে ভাল হত!

    No comments